মশাহিদ আহমদ : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কমলগঞ্জে ৯টি ও শ্রীমঙ্গলে ৯ ইউনিয়নের বেসরকারি ফলাফল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন যারা। গত বুধবার রাত ১০টায় উপজেলা সম্মেলন কক্ষে তাদের নাম ঘোষনা করা হয়। কমলগঞ্জে ৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪টি আওয়ামীলীগ, ২টি বিদ্রোহী ও ৩টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। তারা হলেন- ১নং রহিমপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের (নৌকা) প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ বদরুল, ২নং পতনউষার ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস) অলি আহমদ খান, ৩নং মুন্সীবাজার ইউনিয়নে স্বতস্ত্র প্রার্থী (অনারস) নাহিদ আহমদ তরফদার, ৪নং শমসেরনগর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতস্ত্র প্রার্থী (ঘোড়া) বর্তমান চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ, ৫নং কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী (নৌকা) বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান, ৬নং আলীনগর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস) নিয়াজ মুর্শেদ রাজু, ৭নং আদমপুর ইউনিয়নে স্বতস্ত্র প্রার্থী (ঘোড়া) বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আবদাল হোসেন, ৮নং মাধবপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের প্রার্থী (নৌকা) মো. আসিদ আলী ও ৯নং ইসলামপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের প্রার্থী (নৌকা) মো. সুলেমান মিয়া। উলে­খ্য- কমলগঞ্জ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩৩ জনের মাঝে আওয়ামী লীগের ৯জন, বিদ্রোহী ৫জন, বিএনপি সমর্থীত ১১জন, স্বতন্ত্র ৭জন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ১জন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। এর আগে বিচ্ছিন্ন দু’একটা ঘটনা ছাড়া শান্তি প‚র্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার ৭টি ইউপিতে কোনো রকম সহিংসতার ঘটনা না ঘটলেও পতনঊষার, শমশেরনগর ও আদমপুর ইউনিয়নে ফলাফল প্রকাশের সময় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে ১ঘন্টা কেন্দ্র ঘেরাও করে রাখে প্রশাসন। এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের মাইজগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গননার সময় নৌকা ও আনারস মার্কার সমর্থকদের মাঝে কেন্দ্রের বাহিরে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ৪জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। শ্রীমঙ্গলে ৯ ইউনিয়নে – বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান পদে ৬ টিতে নৌকা, ১ টিতে বিদ্রোহী ২টি স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিজয় হয়েছেন। ১নং মির্জাপুর ইউনিয়নে মিছলু আহমেদ চৌধুরী আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী (ঘোড়া) প্রতীক নিয়ে তিনি ৫৭৯০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি অপূর্ব চন্দ্র দেব (নৌকা) প্রতীক নিয়ে ৫৬১৬ ভোট পেয়েছেন। ২নং ভূনবীর ইউনিয়নে আব্দুর রশিদ তালুকদার (নৌকা) প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ৮০৭৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি ইদ্রিস আলী (ঘোড়া) প্রতীকে ৬১১৪ ভোট পেয়েছেন। ৩নং শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নে মোঃ দুধু মিয়া স্বতন্ত্র (ঘোড়া) প্রতীকে ১০,৯৩২ টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি নৌকা প্রতীক নিয়ে মোঃ আবু তালেব বাদশা ৮১৩১ ভোট পেয়েছেন। ৪নং সিন্দুরখাঁন ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াছিন আরাফাত রবিন স্বতন্ত্র (ঘোড়া) প্রতীক নিয়ে ৭৭৩৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি আব্দুল­াহ আল হেলাল (নৌকা) প্রতীক নিয়ে ৭১৪৯ ভোট পেয়েছেন। ৫নং কালাপুর ইউনিয়নে বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মতলিব (নৌকা) প্রতীক নিয়ে ৬১৫০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি মোহাম্মদ ফজলুর রহমান ফজলু (ঘোড়া) প্রতীক নিয়ে ৫০৫১ টি ভোট পেয়েছেন। ৬নং আশিদ্রোন ইউনিয়নে রনেন্দ্র প্রসাদ বর্ধন (নৌকা) প্রতীক নিয়ে ১০৪৩৪ টি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি মোঃ তাজ উদ্দীন (আনারস) প্রতীকে ৭২২৬ টি ভোট পেয়েছেন। ৭নং রাজঘাট ইউনিয়নে বিজয় বোনার্জি (নৌকা) প্রতীক ১১,২৬৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি ধীমান চন্দ্র বসাক (আনারস) প্রতীকে ১৬৮৩ ভোট পেয়েছেন। ৮নং কালীঘাট ইউনিয়নে প্রানেশ গোয়ালা (নৌকা) প্রতীক ৬৯৭৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী বিজয় হাজরা ( আনারস) প্রতীকে ৩৮৭১ টি ভোট পেয়েছেন। ৯নং সাতগাঁও ইউনিয়নে দেবাশীষ দেব রাখু ( নৌকা) প্রতীক নিয়ে ৪১৭৭টি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি মিলন শীল আনারস প্রতীকে ২৭৮২ ভোট পেয়েছেন।জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন- অত্যন্ত শান্তিপ‚র্ণ পরিবেশে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সকাল থেকে ভোটারেরা উৎসবমুখর পরিবেশে সবকয়টি কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন।